ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সালথায় ওয়ার্ড বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত শামা ওবায়েদের নির্দেশে সালথায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁশে যুবদল সালথায় মাদক মামলার তিন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর ১ আসেন বিএনপিকে বিজয় করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান -বিল্লাহ খান ফরিদপুরের শ্রেষ্ঠ এসআই প্রশান্ত কুমার মন্ডল সালথায় কৃষকলীগ সভাপতি হারুন ফকির গ্রেপ্তার সালথায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ সালথায় যুবলীগ নেতার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করলেন: শামা ওবায়েদ সালথায় ৭০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী রমজান গ্রেপ্তার আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ সালথা উপজেলা কমিটির অনুমোদন

সালথায় বিএনপি-জায়ামাত সমর্থকদের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর

সাইফুল ইসলাম, সালথা থেকে:
  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ২৬১ বার পড়া হয়েছে
জনতার দাবী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জায়ামাত নেতার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষচলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাগবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

জানা যায়, সালথা উপজেলার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আছাদ মাতুববরের সমার্থক আফতাব মৃধা ও ফরিদপুর পৌর জামায়াতে ইসলামের সহকারি সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর মোল্লার সমর্থক তুরাপ মাতুবরের মধ্যে সন্ধ্যার পরে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সন্ধ্যার আগে সালথা বাজারে স্থানীয় ওলামা লীগের নেতা হারুন মাতুবরের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে বিএনপি’র সমর্থক আফতাব মৃধার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় হারুন মাতুব্বর বর্তমানের জামাতের সমর্থক হওয়ায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আফতাব মৃধাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন। এ নিয়ে দুজনের ভিতরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হারুন মাতুব্বর আফতাব মৃধাকে থাপ্পড় দেন। এ সময়ে বাজারের লোকজন এসে ঘটনাটি সেখানেই মীমাংসা করে দেন।

এরপর ইফতারের পরে আফতাব মৃধা বাগবাড়ি বিএনপির সমর্থক মিজানের দোকানের সামনে গেলে রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে জামাত নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লার সমর্থক তুরাপ মাতুবর দোকানের সব লোক জনকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। আর তা না হলে তিনি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাবেন বলে হুমকি দেন। একথা বলার পরে বিএনপির সমর্থক মিজান ও আফতাবের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওলামা লীগের নেতা হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধাকে ধাওয়া দিলে আফতাব মৃধার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়়। এসময় জাহাঙ্গীর মোল্লার কয়েক সমার্থকের বাড়ী ভাংচুর করা হয়।

এ বিষয়ে জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের জানান আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুববর এলাকার লোকজন ডাকে। সেখানে আমার পক্ষের কিছু লোক যায় না। যে কারণে, সে ক্ষিপ্ত আমি আগেই জানতাম। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি মিটিংয়ে এলাকার লোক আসলে পরে আছাদ তাদের নিষেধ করে। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে এবং ১০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।

এ বিষয় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আছাদ মাতুব্বর সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করছে । আমি কোন গ্যাঞ্জামের পক্ষে না।

ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য । জানতে পারি বাগবাড়ী দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধার উপর হামলা চালায় এরপর সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন চারটি বাড়ির বেড়া কেটে ফেলে। জাহাঙ্গীর মোল্লা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে।

এ বিষয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গ্যাঞ্জামের খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সালথায় বিএনপি-জায়ামাত সমর্থকদের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর

আপডেট সময় : ০৯:২৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জায়ামাত নেতার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষচলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাগবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

জানা যায়, সালথা উপজেলার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আছাদ মাতুববরের সমার্থক আফতাব মৃধা ও ফরিদপুর পৌর জামায়াতে ইসলামের সহকারি সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর মোল্লার সমর্থক তুরাপ মাতুবরের মধ্যে সন্ধ্যার পরে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সন্ধ্যার আগে সালথা বাজারে স্থানীয় ওলামা লীগের নেতা হারুন মাতুবরের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে বিএনপি’র সমর্থক আফতাব মৃধার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় হারুন মাতুব্বর বর্তমানের জামাতের সমর্থক হওয়ায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আফতাব মৃধাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন। এ নিয়ে দুজনের ভিতরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হারুন মাতুব্বর আফতাব মৃধাকে থাপ্পড় দেন। এ সময়ে বাজারের লোকজন এসে ঘটনাটি সেখানেই মীমাংসা করে দেন।

এরপর ইফতারের পরে আফতাব মৃধা বাগবাড়ি বিএনপির সমর্থক মিজানের দোকানের সামনে গেলে রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে জামাত নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লার সমর্থক তুরাপ মাতুবর দোকানের সব লোক জনকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। আর তা না হলে তিনি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাবেন বলে হুমকি দেন। একথা বলার পরে বিএনপির সমর্থক মিজান ও আফতাবের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওলামা লীগের নেতা হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধাকে ধাওয়া দিলে আফতাব মৃধার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়়। এসময় জাহাঙ্গীর মোল্লার কয়েক সমার্থকের বাড়ী ভাংচুর করা হয়।

এ বিষয়ে জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের জানান আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুববর এলাকার লোকজন ডাকে। সেখানে আমার পক্ষের কিছু লোক যায় না। যে কারণে, সে ক্ষিপ্ত আমি আগেই জানতাম। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি মিটিংয়ে এলাকার লোক আসলে পরে আছাদ তাদের নিষেধ করে। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে এবং ১০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।

এ বিষয় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আছাদ মাতুব্বর সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করছে । আমি কোন গ্যাঞ্জামের পক্ষে না।

ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য । জানতে পারি বাগবাড়ী দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধার উপর হামলা চালায় এরপর সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন চারটি বাড়ির বেড়া কেটে ফেলে। জাহাঙ্গীর মোল্লা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে।

এ বিষয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গ্যাঞ্জামের খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।