অপারেশন ডেভিল হান্ট:
নগরকান্দায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও এক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ১২:৪২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরের নগরকান্দায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও এক ছাত্রলীগ নেতা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম (৬১), পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আতাউর রহমান বাবু (৪৮) এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. কামরান মাতুব্বর।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা সবাই স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহদাব আকবরের ছত্রছায়ায় আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তিন জনের নামেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে,ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম ২০১১-২০১৬ ও ২০২১ সালে টানা তিনবারের চেয়ারম্যান। প্রথমবার প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বড় ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরীর আশির্বাদে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী সরদার সাইফুজ্জামান। পরের দুইবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কাজী আবুল কালাম একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতেন। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কালামের স্থানীয় আধিপত্য বজায় রাখতে সংঘর্ষের কাজে ব্যবহৃত হত। এ ছাড়া তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ডাঙ্গী গ্রাম থেকে সরিয়ে এনে নিজ গ্রাম ভবুকদিয়ায় অস্থায়ী ইউপি কার্যালয় স্থাপন করেন।
এদিকে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন আতাউর রহমান বাবু। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহদাব আকবরের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এরপর থেকে তিনি একজন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হিসেবে মর্যাদা পাওয়া শুরু করেন।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তার ইউপি সদস্যরা টিআর, কাবিখা, কাবিটা, উন্নয়নন প্রকল্পের টাকা, হাট বাজার, এডিবিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন। তার এসব স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল তার পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্যদের মধ্যে আট জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুগ্রহে এই অভিযোগে কিছুই হয়নি তার।










